★ চেয়ারম্যানের বাণী ★

সৃষ্টিশীলতা ও অতুলনীয় মানবিক চরিত্রের ব্যক্তিত্ব তৈরির প্রাথমিক স্তম্ভ হচ্ছে- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যেখানে জ্ঞান অনুসন্ধিৎসু ছাত্র/ছাত্রীরা পিপাসিত চাতকের ন্যায় তৃষ্ণা নিবারণের জন্য জ্ঞানের পিয়াস মেটায়। সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা প্রত্যেক পিতামাতার একটি মৌলিক ও প্রত্যাশিত দাবী। বস্তুত, জ্ঞান মিথ্যা থেকে সত্যকে পার্থক্য করতে শেখায়, অন্ধকারকে দূরীভূত করে আলোর পথে হাঁটতে শেখায়, চিন্তার জগতে মোড়ক উন্মোচন করে বিশ্বকে জানতে শেখায়। বলাবাহুল্য যে, শিক্ষা এমন একটি প্রক্রিয়া-- এর মধ্য দিয়ে একজন ছাত্রের প্রকৃতিজাত গুনাবলীর পরিপূর্ণ বিকাশের নিমিত্তে উদ্দীপনা তৈয়ার ও দেশের একজন সুনাগরিক এবং সমাজে প্রভাব ফেলে এমন উৎপাদনমুখী মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে যেসব জ্ঞান ও দক্ষতার প্রয়োজন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেগুলো অর্জনে সহায়তার মাধ্যমে ছাত্র/ছাত্রীকে সৃষ্টিশীল করে তুলে। শিক্ষার্থীদের অর্জিত জ্ঞান ও বাস্তব অভিজ্ঞতার সংমিশ্রণে সৃজনশীল সৃষ্টি কর্মে রূপ নেয়। শিক্ষা জীবনের অর্জিত জ্ঞান ব্যবহারের কৌশলকে রপ্তকরে শিক্ষাকে অধিক জীবনমুখী ও প্রায়োগিক করে তোলার সাথে সাথে ধর্মীয় জ্ঞান চর্চার মাধ্যমে নৈতিকতার উন্মেষ ঘটানোই হচ্ছে— আমাদের প্রয়াস। “বাইয়্যিনাহ” প্রতিটি শ্রেণিকে এমনভাবে সাজিয়েছে, যেখানে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) বইয়ের পাশাপাশি নিজস্ব বই ও ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষামূলক ম্যাটেরিয়ালস দ্বারা সমৃদ্ধ। এসব ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষামূলক ম্যাটেরিয়ালস এবং পাঠদান পদ্ধতি বাইয়্যিনাহকে এক অনন্য মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের বিশুদ্ধ জ্ঞান বিতরণ ও ধর্মীয় চর্চাকে সমুন্নত রেখে পরিশুদ্ধ মনের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা ও তাদের মেধাকে বিকশিত ও শাণিত করাই হচ্ছে আমাদের মূলব্রত।

পরিশেষে, “বাইয়্যিনাহ” শিক্ষার পাঠোন্নয়ন ও সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ নির্মাণে সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।

চেয়ারম্যান


আবু হুরায়রা আল-মারুফ

এম.এস.এস. (সমাজকল্যাণ)

সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এম.এ. (হাদীস), ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়

বি.এস.এস. (অনার্স), জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

বি.এ. (ফাদ্বিল), ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়

দাওরা হাদীস (তাকমীল/মাস্টার্স), হাইয়্যাতুল উলয়্যা

সাবেক শিক্ষক, সাইফুর'স (জব প্রোগ্রাম)